আরিফ ভাই,
ছোটবেলার প্রতিজ্ঞা থেকেই সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য একটা স্কুল করা ( নিজে ভুক্তভুগি ছিলাম বলেই হয়তো )
বিদেশে কাজ করে যা বেতন পাই, তা থেকেই টুকটুক করে চালাই এই প্রতিষ্ঠান... কারও কাছ থেকে বিন্দু মাত্র টাকা ডোনেশান নেয়নি... যা পেরেছি নিজেই করেছি
আর পারছি না
টাকা না হয় আমি সারাজীবন এই স্কুলের পিছে দিয়েই যাব কিন্তু, এই মুহূর্তে কিছু ভলান্টিয়ার না হলেই নয়
আমি দেশের বাইরে থেকে এটা এতদূর এনেছি ... আমি দেশে থাকলে হয়তো এভাবে আপনাকে বলতাম না
প্লিজ কিছু ভলান্টিয়ার জোগাড় করে দিন
আমাদের শাখা তিনটি- ঢাকা, চট্টগ্রাম আর নারায়ণগঞ্জ ... বর্তমান ছাত্র সংখ্যা ৫০০
আমরা অংক, ইংরেজি এবং বিজ্ঞানের ক্লাস নেই ... এটা কোন পরিপূর্ণ স্কুল না, বরঞ্চ ফ্রি কোচিং সেন্টারের মতোই... যেখানে গরীব ছাত্রদের রুটিন করে মৌলিক জ্ঞানের ভিত্তি করে দেয়া হয়। তাছাড়া, প্রতিমাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চলচিত্র দেখা, পরিছন্নতা শিক্ষা ... এসব তো আছেই
এছাড়া আছে তিনটি উন্মুক্ত পাঠাগার, যেখানে আছে প্রায় ৮০০০ বই (যে কেউ গিয়ে পড়তে পারে কোনরূপ মেম্বারসিপ ছাড়া)
পুরো কাজটি চালাতে আমাদের প্রধানত প্রতিদিন ১৫ জনের মতো স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক দরকার, দরকার আর কিছু ছাত্র উপদেষ্টা
নিজের আয় থেকেই টাকা দিয়ে ইনশাল্লাহ আমি সারাজীবন চালিয়েই যাব আমার এই বিদ্যানন্দ (Bidyanondo) স্কুলটা ... কিন্তু, এই মুহূর্তে কিছু ভলান্টিয়ার না হলেই নয়
একটু কি দেখবেন?
আপনার এক লেখনীতে হয়তো এই প্রতিষ্ঠানটির স্বেচ্ছাসেবক সমস্যাটি চিরতরে নাই হয়ে যাবে।
তাই আপনার দ্বারস্থ হলাম। আপনার সাহায্যের অপেক্ষায়।
ইতি
---
... তাকে কি উত্তর দিবো জানি না; বরং আসেন, তাকে উত্তরটা আমরা একসাথেই দেই
কারণ, আমরা প্রত্যেকেই কিন্তু এক একটা মোমবাতি
বাবা মা খরচ করে ম্যাচ কিনে আমাদের মাঝে আলো জ্বালিয়েছে
আমাদের আশেপাশে অনেক সুবিধাবঞ্চিত মোমবাতি আছে, যাদের বাবা-মা’রা হয়তো তাদের জ্বলে উঠার মত শিক্ষাটা দিতে পারছে না
আমি যদি আমার থেকে কিছু আলো, আমার পাশের বাসার সেই সুবিধা বঞ্চিত মোমবাতিটাকে দেই, তাহলে কিন্তু আমার এতটুকুনও ক্ষতি হবে না
হবে কি?
বা, তাতে আমি মোমবাতিটার আলো, কি একটুও কমবে?
লেখক ঃ আরিফ আর হোসাইন